সম্ভাবনাময় পর্যটন ৪র্থ পর্ব

সম্ভাবনাময় পর্যটন ৪র্থ পর্ব

                         আদিকাল থেকেই ভ্রমনের নেশায় মানুষ দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে
                                                    মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম:


সৃষ্টির সেই আদিকাল থেকেই ভ্রমনের নেশায় মানুষ একদেশ থেকে আর একদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অজানাকে জানার, অদেখাকে দেখার অজয়কে জয় করার তীব্র বাসনাই মানুষকে প্রতিনিয়ত তাড়িয়ে ফিরছে। এখান থেকে ওখানে। এদেশ থেকে ওদেশে। ফলে একদিকে যেমন মানুষ তার আকাঙ্খার নিবৃত্তির মাধ্যমে পেয়েছে অনাবিল আনন্দ আর নিজের জ্ঞান-ভান্ডারকে করতে পেরেছে সমৃদ্ধ। অন্যদিকে তেমনি বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে ভাব ও তথ্যের আদান প্রদানের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে সৌ-ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধণ। এ থেকেই মানুষ দেশ ভ্রমন অনুপ্রানিত হয়েছে এবং এই ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে।
তৃণমূল সাংবাদিকতার স্খীকৃতি স্বরুপ একাধিক জাতীয় পুরুস্কার প্রাপ্ত মুহা: সাইফুল ইসলাম লেখা ‘সম্ভাবনাময় পর্যটন’ শিরোনামে ধারাবাহিক প্রতিবেদনে ৪র্থ পর্ব হচ্ছে, আদিকাল থেকেই ভ্রমনের নেশায় মানুষ দেশ বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কর্মব্যস্ততার মাঝে অবসর সময়টুকু হয়ত ঠিক করছেন দেশের কোন দর্শনীয় স্থানে সপরিবারে বেড়াতে যাবেন অপরিচিত স্থানে বিধায় আপনার ভ্রমনের সময় কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস সাথে নিতে ভুলবেন না ভ্রমন গাইড (যে এলাকায় যাবেন তার তথ্য) ছোট ছাতা, রেইনকোট, টর্চলাইট ব্যাটারী মোমবাতি দেশলাই মশা নিরাবেরর জন্য কয়েল সেপ্র। পানির বোতল পানি বিশুদ্ধকরনের জন্য ট্যাবলেট, টুপি হাফ প্যান্ট ট্রাইজার কেডস গেঞ্জি শার্ট ভ্রমন এলাকা ভুব শীত হলে প্রধান হলে উলের কাপড় চোপর ফিল্ম ব্যাটারী ক্যামেরা। ব্যাথা নিবারনের জন্য ডিসপ্রিন প্যারাসিটামল। রাস্তায় ভ্রমনের জন্য বমি বমি বাব বন্ধের জন্য এভামিন জাতীয় ট্যাবলেট এবং পলিথিন ব্যাগ।
সবুজ শ্যামলীমায় ঘেরা অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাক্ষেত্র বাংলাদেশ। পর্যটকদের উপহার দেবার মতো প্রচুর আকর্ষনীয় বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সমুদ্র সৈকত হ্রদ, পাহাড়, মেলা, বন্যাপ্রানী, আবহামান গ্রামীণ জীবন, উপজাতীয় জীবনধারা, প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শণ, ঐতিহাসিক কীর্তি, লোককাহিনী, হস্তশিল্প, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধর্মীয় কৃষ্টি, কবি গান, বাউল গান, যাত্রা গান, পল্লীগীতি ভাওয়াইয়া, জারি গান, মুর্শিদী, মারফতি, লালন গীতির উল্লেখযোগ্য। এদেশের শিল্প সাহিত্য সঙ্গীত চিত্রকলা পর্যটকদের আনন্দিত ও আলোড়িত করছে।  গ্রামীণ জীবনের বৈচিত্র নদীমাতৃক সমাজ ব্যবস্থা এবং আধ্যাতিœকতা ও কম আকর্ষন নয়। দিন দিন এসব পর্যটন সম্পদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। পর্যটন হলো ভ্রমণ এবং ভ্রমনকারীর মধ্যে সর্ম্পকের একটি সমন্বিত রুপ। এদেশের সবুজ শ্যামল ¯িœগ্ধ প্রকৃতি আর মানুষের বন্ধুস্বলভ আচরণ ও আতিথেয়তা যুগযুগ ধরে পর্যটকদেরকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। পর্যটন শিল্প উন্নয়নে দেশী পর্যটকদের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বের অন্যতম পর্যটন গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে ২০১৬ সালকে পর্যটন বছর ঘোষনা করেছিল সরকার। ভিজিট বাংলাদেশ শ্লোগানকে সামনে রেখে তাই চলছে বছর জুড়ে পর্যটক আকর্ষনের প্রস্তুতি। মুল আয়োজনের অংশ হিসেবে বিদেশ পর্যটকদের জন্য থাকছে বাড়তি সুবিধা। পর্যটন বর্ষকে কেন্দ্র করে বছর ব্যাপী নানা কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শেষ হয়েছে এমগা বিচ কার্ণিভাল। পর্যটন লোকজ মেলা, ফোক আর্ট মেলা। ঘুড়ি উৎসব এবং মধুমেলা। ভিজিট বাংলাদেশ উপলক্ষ্যে আর্ন্তজাতিক মার্তৃভাষা দিবসে প্রভাত ফেরি এবং প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে রচনা প্রতিযোগিতা। সাভারে জয় রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত সেকালের গান উৎসব। বাংলাদেশ পর্যটন বর্ষ উপলক্ষ্যে করপোরেশনের সব বিভাগীয় হেড কোয়ার্টের কনসার্ট আয়োজন ও প্রমোশনাল প্যাকেজ ট্যুর। চলবে